অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন রিটেন চাকমা এবং সভাপতিত্ব করেন জনসংহতি সমিতি মহালছড়ি থানার কমিটি সভাপতি নীল রঞ্জন চাকমা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক থুইহলাঅং মারমা এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি শোভাকুমার চাকমা। এ সময় স্থানীয় যুব কমিটি, মহিলা যুব কমিটি সদস্য, ইউপি সদস্য, গ্রামপ্রধানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা এমএন লারমার নীতি-আদর্শ তুলে ধরে বলেন, তিনি ছিলেন নিপীড়িত মানুষের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কঠোর সংগ্রামী, ক্ষমাশীল ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ। রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের বুড়িঘাট মহাপ্রুম গ্রামে ১৯৩৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পরবর্তীতে কাপ্তাই বাঁধের পানিতে গ্রামটি বিলীন হয়ে গেলে পরিবার পানছড়িতে বসতি স্থাপন করে।
শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও তিনি পরবর্তীতে আইন পেশায় যুক্ত হন এবং ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দীসহ সকল প্রার্থীকে পরাজিত করে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাকিস্তান শাসনামলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে কারাবরণও করতে হয়।
এমএন লারমা জনসংহতি সমিতি ও শান্তিবাহিনী গঠনে নেতৃত্ব দেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম চালান। ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর তিনি মর্মান্তিকভাবে শহীদ হন।
বক্তারা তার আদর্শে ছাত্র-যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও জুম্ম স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান।