
সরকারি কর্মকর্তা হয়েও প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এমন ঘটনায় জামালপুরে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মেলান্দহ পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (৯ম গ্রেড) মোঃ মনিরুজ্জামান সম্প্রতি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের একটি বিএনপি কর্মী সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে সমাবেশে অংশগ্রহণ ও বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করেন, যা প্রশাসনিক মহলে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের বাটিকামারী এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপির ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে একটি কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের মনোনীত প্রার্থী ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম। বিকেল থেকে শুরু হয়ে অনুষ্ঠানটি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
সমাবেশে উপস্থিত থেকে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বক্তব্য দেন এবং বক্তৃতার সময় বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে সাফাই গেয়ে কৌশলে ভোট চান বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সেই দিনের পুরো সময় তিনি অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন, যা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে মেলান্দহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর বিধি ৫ (১) ও ৫ (২) অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন না। তাই তার এমন আচরণকে অনেকে সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।
এ বিষয়ে জানতে সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাড়া দেননি। পরে দুপুরে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আমার কাজটি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়— সেটা আমি জানি। আমি যা করেছি, জেনেশুনেই করেছি। আমার ফেসবুকেই সব আছে, আপনারা দেখে নিন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক এস. এম. আলমগীর বলেন, তিনি গত সপ্তাহেও অফিসে ছিলেন না। গতকাল ও আজও আসেননি। তার ফেসবুক আইডিতে সমাবেশের ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে— বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আজ অফিসিয়ালি প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন