
এলডিসি হতে উত্তরণ” সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন —
“আমাদের কাছে এটা পরিষ্কার হতে হবে, আমরা আর পরনির্ভর হতে চাই না। আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে। আমরা যেন নিজেরা দাঁড়াতে পারি, কোনো ধরনের দাসত্বে না পড়ি।”
তিনি বলেন, এখন যেহেতু আমরা বহু বিষয়ে পরনির্ভর, তাই যত দ্রুত সম্ভব সেই অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে। “এটা শুধু অর্থনীতির নয়, মানসিকতারও পরিবর্তন,” — বলেন ড. ইউনূস।
সভায় তিনি আত্মনির্ভরতার দর্শনকে “নতুন বাংলাদেশের আত্মা” হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশ মানে হলো স্বনির্ভর বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে, নিজের প্রয়োজনে নিজের শক্তি কাজে লাগায়।”
ড. ইউনূস বলেন “এই জাতির যথেষ্ট ক্ষমতা আছে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য। তারুণ্যের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও পরিশ্রমই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। আত্মনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারলে আমরা দাসত্ব থেকে মুক্তি পাব। এটা কঠিন হলেও এই লড়াইয়ের মধ্যেই আনন্দ আছে।”
সভায় তিনি বিভিন্ন উপদেষ্টা, ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের আহ্বান জানান – দেশের শ্রমবাজার, প্রযুক্তি ও শিল্পখাতকে নতুনভাবে সংগঠিত করতে হবে, যাতে বাংলাদেশ নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই তৈরি করতে পারে।
তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন “আমাদের ডেডলাইন যাই হোক না কেন, লক্ষ্য একটাই নিজের পায়ে দাঁড়ানো বাংলাদেশ।”
এই বক্তব্যে প্রতিধ্বনিত হয়েছে এক নতুন আশার সুর, নতুন বাংলাদেশ মানে আত্মনির্ভর বাংলাদেশ। যেখানে তরুণেরা হবে উন্নয়নের অগ্রদূত, উদ্ভাবন হবে অর্থনীতির চালিকা শক্তি, আর প্রতিটি নাগরিক বাঁচবে মর্যাদায়, কোনো দাসত্বে নয়।
মন্তব্য করুন