পটুয়াখালীতে সুপারি চুরির অপবাদে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে গাছের সাথে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার মুঠোফোনে ধারণকৃত ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার পর লজ্জা ও অভিমানে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছেন ভুক্তভোগী। বাবার কৃষি কাজে ব্যবহৃত পোকা মারার ওষুধ (বিষ) পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কিশোর রোমান (১৪)।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বর্তমানে শংকামক্ত এবং চব্বিশ ঘন্টার জন্য তাকে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
শনিবার (১৩সেপ্টেম্বর) কাছিপাড়া ইউনিয়নের মান্দারবন গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী ওই গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আব্দুল গনির ছেলে এবং কাছিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত ১০ টার দিকে রোমানকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। তার স্টমাক পরিষ্কার করার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত বলেও জানায় জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক।
ভুক্তভোগী রোমান ও তার পরিবারের অভিযোগ, বেলা ১১টার দিকে হাওলাদার বাড়ির মোহাম্মদ ছালাম সুপারি সংগ্রহের চুক্তি করে ভুক্তভোগীকে গাছে ওঠায়। পরে ফেরার পথে ঢাকায় বসবাস করা এক ব্যক্তির গাছ থেকে সুপারি সংগ্রহ করে নেয়ার চেষ্টা করে ভুক্তভোগী। স্থানীয় সজিব, বাবু ও আমিন নামের তিনজন এ ঘটনা দেখতে পেয়ে রোমানকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে এবং গাছের সাথে শিকলে বেঁধে ব্যাপক মারধর করেন। এই সংক্রান্ত ভিডিও ধারণ করে তারা ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। ভিডিও ছড়িয়ে পরলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে লজ্জায় রোমান পোকা মারার ওষুধ খেয়ে ফেলেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুঠোফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তাদের মন্তব্য জানা যায়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম।