গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে চেঙ্গী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার সমতল এলাকাগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে মুবাছড়ি ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি কোমরসমান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।
ডুবে যাওয়া ওই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতেন মুবাছড়ি ইউনিয়নের শত শত সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এবং সরকারি- বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এখন এই রাস্তা ডুবে যাওয়ায় তাদের চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মহালছড়ি উপজেলা সদরের সাথে সিঙ্গিনালা (মুবাছড়ি ইউনিয়ন) সংযোগকারী সড়কটিতে কোমরসমান পানি উঠে গেছে। ফলে মহালছড়ি উপজেলার সিলেটি পাড়া, চট্টগ্রাম পাড়া, ব্রিজপাড়া সহ কয়েকটি গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের ঘরের ভেতর পানি ঢুকে গেছে, যার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
ব্রিজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তিতাস চাকমা জানান, “গত কয়েক দিন ধরে তুমুল বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গেছে। ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে, রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না। সাপ, পিঁপড়া আর পোকামাকড়ের উপদ্রবে আতঙ্কে দিন কাটছে।”
আরেক বাসিন্দা বিপল চাকমা বলেন, “আগেও একবার বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে গিয়েছিল। এবারও একই অবস্থা। আমাদের অনেককে ঘর ছেড়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। সবচেয়ে কষ্ট হয় রাতের অন্ধকারে বৃদ্ধ ও ছোট বাচ্চাদের নিয়ে নিরাপদ জায়গায় যেতে।”
মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আবু রায়হান বলেন, বন্যার্তদের সহায়তায় ইতোমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাদের জন্য শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে দুপুর ও রাতের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”