খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় স্বপ্নবিলাস এগ্রো ফার্মের তৃতীয় শাখায় পরিকল্পিতভাবে আগাছানাশক বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৭ হাজার বিদেশি ফলের চারা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ফার্ম কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির আনুমানিক ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গত ৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাতে। ফার্মের সিসি ক্যামেরা রাত ১০টা পর্যন্ত সচল থাকলেও, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর রাত ১১টার দিকে ক্যামেরা ভেঙে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ৫ জুলাই থেকে দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট পাশের চারাগুলো একে একে নিস্তেজ হয়ে মারা যাচ্ছে। এতে স্পষ্ট হয়, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা।
১৪ জুলাই (সোমবার) প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ও উদ্যোক্তা মোঃ খালেদ মাসুদ সাগর সাংবাদিকদের জানান, দিনদিন মহালছড়ির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। সম্প্রতি আমি কিছু অন্যায় কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় একটি প্রভাবশালী মহল পরিকল্পিতভাবে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার কণ্ঠরোধ করতেই তারা প্রাথমিকভাবে এই ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শনের পথ বেছে নিয়েছে। ভবিষ্যতে আমার জীবনেরও আশঙ্কা করছি।”তিনি আরও বলেন, স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ ও স্বপ্নবিলাস এগ্রো ফার্ম—এই দুটি প্রতিষ্ঠানের উপর ৩০-৪০টি পরিবারের প্রায় ২০০ জন মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। এই ক্ষতিতে শুধু আমি নই, পুরো একটি সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
ফার্মের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনার পর মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলেও গত ১০ দিনের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহানুভূতি বা তদন্ত কার্যক্রম দেখা যায়নি।
সাগর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন “খাগড়াছড়ির অভিভাবক সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. ওয়াঁদূত ভূঁইয়া ছাড়া আর কারও উপর এখন ভরসা রাখতে পারছি না। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি—এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং মহালছড়ির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।”