সুপ্রিয় চাকমা বর্তমানে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা তালিকভুক্ত। তার পরিবার কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে কৃষি কাজও করতে পারছেন না। সুপ্রিয় চাকমা বলেন স্বপ্ন ছিল কাঠ,বাশঁ দিয়ে কারুশিল্পগুলো দিয়ে মিনি যাদুঘর তৈরি করে রাখা। আমাদের পাহাড়িদের ঐতিহ্য সাংস্কৃতিক ধরে রাখতে নতুন প্রজন্মদের কাছে ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলাই তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য।
সুপ্রিয় চাকমা বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির চার পাশের সারি সারি ফুলের বাগান, গাছে গাছে দুলছে নানান রকম ফুল। সুপ্রিয় চাকমা প্রতিবন্ধী হলেও হাতুড়ি, বাটালি আর দা দিয়েই তৈরি করছে কাঠের উপর বুদ্ধমূর্তি, মানুষের মূর্খাকৃতি, জীব- জন্তুু, পশু- পাখিি, মুই, লাঙ্গল, জোয়াল, বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় ফুল শাপলাসহ প্রচীনকালের চাকমা সমাজের বাঁশের তৈরি ব্যবহার্য্য জিনিস- পত্র যেমন দোলনা, মেজাং, ডুলা, জুমর, আরিহ্ , কুলা, হাতপাখা, পুলেং, হারলোং, হারাং, ঝাগা, লুই, ফুলবারেং, বাঁশ দিয়ে পাহাড়ের ঝুম ঘরের ছবি আর কত নাম অজানা জিনিস-পত্রের নাম।
সুপ্রিয় চাকমা বলেন নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোন কাজ করতে পারতেছিনা। শিল্পকর্মের ও রোজগার কম থাকায় অর্ডার পেলে তৈরি করে দেন যার যেটা প্রয়োজন। সুপ্রিয় চাকমা চিন্তিত আছেন একমাত্র ছেলে কৌশল চাকমা(২৩)র ভবিষৎ নিয়ে । ভগবানে জানে, ছেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক সংকটের কারণে ভর্তি হতে পারবেন কিনা। আরও বলেন বর্তমানে প্লাস্টিক ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে বাঁশের তৈরি জিনিস-পত্র গুলো বিলুপ্তির পথে।
দুর থেকে আসা বিটন চাকমা (৩৫) ও এক বয়স্ক মুরুবির সাথে কথা হয়। দৃষ্টিনন্দন কারুশিল্পগুলো দেখলে কারও দেখে মন ভরে যায়। দেখা যাচ্ছে সুপ্রিয় চাকমা অনেক কাজে পারর্দশী । আমি কয়েকটি জিনিস পত্র বাড়িতে ব্যবহারে জন্য অডার করেছি সেগুলো নিতে আসলাম।