বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটির অবস্থা ভয়াবহ হয়ে উঠে। হালকা বৃষ্টিতেই রাস্তার মাটি কাদা হয়ে যায়, আর কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হলে পুরো পথই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। কাপ্তাই লেইকের পানি বৃদ্ধি পেলে প্রায় ২-৩ মাস রাস্তার একটি বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়, তখন এলাকাবাসী নিজেরাই বাঁশের সাঁকো বানিয়ে কোনো রকমে চলাচল সচল রাখেন।
বিগত সময়ে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ, এমনকি জনপ্রতিনিধিদের নিকট ধর্ণা দিলেও দৃশ্যমান কোনো স্থায়ী সমাধান মেলেনি। এক সময় কেবল একটি কালভার্ট নির্মিত হলেও সেটিও কোনো কাজে আসেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সম্প্রতি ‘কাবিখা’ (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি মাটি দিয়ে কিছুটা উঁচু করা হয়। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সেই মাটি গলে গিয়ে রাস্তার অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়ে। ফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও কৃষিজীবী সাধারণ মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মংসিনু মারমা বলেন, “আমরা এলাকাবাসী নিজেরা মিলে বস্তায় মাটি ভরে রাস্তার ওপর বিছিয়ে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। বর্ষা আরও বাড়লে কাপ্তাই লেইকের পানিতে রাস্তা আবার তলিয়ে যাবে। তখন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।”
এদিকে, ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দোয়ংপ্রু মারমা জানান, “সম্প্রতি কাবিখা প্রকল্প থেকে রাস্তাটি ভরাট করা হয়েছে। কিন্তু এ রাস্তাটির স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন প্রকল্প আনার চেষ্টা করব।”
নতুন পাড়া গ্রামের মানুষ এখন স্থায়ী সমাধানের আশায় তাকিয়ে আছেন স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দিকেই।