নিহত সানাউল্লাহ বাদশা ওই এলাকার মোকাররম মিয়ার ছেলে। তিনি ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানায়, জাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মুকুল মিয়ার স্ত্রী শাহিমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সানাউল্লাহর। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও কয়েকবার সালিশে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়।
ঘটনার দিন রাতে সানাউল্লাহ মুকুলের বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মুকুল ও তার স্ত্রী শামীমা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সানাউল্লাহকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হত্যায় ব্যবহৃত কিছু আলামত উদ্ধার করেছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত দম্পতি পলাতক রয়েছে।
রূপগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম জানান, “হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। আশা করি দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।”
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।