শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
Title :
গাইবান্ধায় বাকিতে পণ্য সামগ্রী না দেয়ায় গুলি বাগমারায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালন মহালছড়িতে বয়স্ক ব্যক্তির রহস্যজনক নিখোঁজ, পানিতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা মাদারগঞ্জে স্কুলের ছাদ ধসে আহত ২ শিক্ষার্থী, পরদিন ক্লাসরুম ফাঁকা সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের মানববন্ধন গাজীপুরে তুহিন হত্যা – মেলান্দহে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা পোরশায় উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা বিএনপির বিজয় মিছিল কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি-মহালছড়ির সমতল এলাকা প্লাবিত, দুর্ভোগে জনজীবন কুড়িগ্রামে বিএনপির বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত লালমোহনে গণহত্যাকারী স্বৈরাচার খুনি হাসিনা সরকারের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি আলোচনা সভা

ভুতুড়ে বিলের কবলে গোপালপুরের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা

মোঃ নুর আলম, গোপালপুর, টাঙ্গাইল
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
  • ৭৬ Time View
ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল এর অভিযোগ তুলে, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ পিবিএস-১ এর গোপালপুর জোনাল শাখার গ্রাহকরা।

টাঙ্গাইল গোপালপুর উপজেলা সর্ব পশ্চিমে যমুনা নদী তীরবর্তী গ্রাম সোনামুই ও পূর্ববর্তী মধুপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নারায়ণপুর গ্রামে, সরেজমিন পরিদর্শনকালে, অন্তত ৪০এর অধিক গ্রাহক অভিযোগ তুলে বলেন; মিটারে ব্যবহৃত ইউনিটের চাইতে ৫০-২০০ইউনিট বেশি বিল করা হয়েছে। মিটার না দেখে অনুমান করেই বিল করা হয়েছে। এ কারনে তারা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন, অনথ্যয় জরিমানা দিতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১-৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে ভ্যাট ব্যতীত ৫.২৬ টাকা বিল ও ৭৬-২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে অতিরিক্ত ৭.২০টাকা হারে বিদ্যুৎ বিল করা হয়। এতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দিতেও বাধ্য হতে হয়।

ধোপাকান্দি ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা তাওফিক আহমেদ বলেন, ৮তারিখে ৬৬৩০ ইউনিট রিডিং লেখা হয়েছে, অথচ আজকে ৩০ তারিখে মিটারে রিডিং আছে ৬৫৭৫ইউনিট। তার অভিযোগ, অতিরিক্ত ইউনিট এর ব্যাপারে অফিসকে অবগত করলে, তারা পরের মাসে সমন্বয় করবে বলেও সমন্বয় করেন না। আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মিটারে বেশি রিডিং লেখা হয়েছে। তারা মিটার না দেখেই এমন ভুতুড়ে বিল বানাচ্ছে।

ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই গ্রামের বিধবা রহিমা বেগম বলেন, আজকে ৩০তারিখ মিটারে আছে ১১০৫ ইউনিট, অথচ ৮তারিখে রিডিং লেখা হয়েছে ১২৬৫ইউনিট। এভাবে অতিরিক্ত বিল বাড়তি চাপিয়ে দিয়ে, আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমার স্বামী-সন্তান নাই এতো বিল আমি কিভাবে পরিশোধ করবো। সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে আবার জরিমানা ধরে।

সোনামুই মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সদস্য বিপ্লব খান বলেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মিটারেই অতিরিক্ত রিডিং লেখা হয়েছে। আমাদের মসজিদে মিটারে আজকে পর্যন্ত ১৬৮৬ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করা হয়েছে, অথচ ২০দিন আগে বিল করা হয়েছে ১৭২০ইউনিট। এভাবে বাড়তি বিলের বোঝা চাপিয়ে দেয়া বন্ধ করা না হলে আমরা গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।

গোপালপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, রিডিং লেখতে ভুল হতেও পারে, এরকম গ্রাহক যদি আসে কেউ তদন্ত করে আমরা সেটা ঠিক করে দিচ্ছি। গত নয়দিনে ১২-১৪টির মতো ঠিক করেছি। আমার এখানে ৭৫হাজার গ্রাহক অথচ লোকবল সীমিত। কতজন গ্রাহকের এমন ভুল হয়েছে তার কোন তথ্য নেই।

না দেখে রিডিং করার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা রিডিং দেখতে ফিল্ডে লোক পাঠাই।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Channel 11
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102