জামালপুরের প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গি হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মৃত্যুর আট মাস পর তার লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার ৪নং নাংলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর নাংলা (কাঠপাড়া) পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এস আলমগীর হোসেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই জামালপুরের এসআই মোশারফ হোসেন লাশ উত্তোলনের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গির মৃত্যু হয়। পরে চলতি বছরের ১৩ মার্চ তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাংবাদিক দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা জামালপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার সিআর নং ৩৮৪।
মামলায় আসামি করা হয়েছে নিহতের প্রথম স্ত্রী খাইরুন্নেছা কাজলী, জামাতা জুলহাস উদ্দিন, জিয়াউর রাফি, মেয়ে জেবুন্নেছা কাকলী, জিনাতুননেছা কণা এবং পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার অফিস স্টাফ দেলোয়ার হোসেনকে।
সেসময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যসূত্রে উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকায় দুই ইজিবাইকের চাপায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গি (৭৫)। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নূরুল হক জঙ্গি মেলান্দহ উপজেলার মুন্সি নাংলা এলাকার বাসিন্দা এবং জামালপুরে বহুল প্রচারিত দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।