
বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের এই সময়ে সাইবার অপরাধ যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে সাধারণ মানুষের ঝুঁকিও। আর এই ঝুঁকি কমিয়ে মানুষকে নিরাপদ রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঝিনাইগাতীর তরুণ প্রতিভা অব্দুল্লাহ আল নোমান, যিনি বর্তমানে দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য সাইবার প্ল্যাটফর্ম CyberCrack24 এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতা ও সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট।
অল্প বয়সেই প্রযুক্তির গভীরে প্রবেশ করে তিনি দক্ষতা অর্জন করেছেন ডিজিটাল ফরেনসিক, সোশ্যাল মিডিয়া সিকিউরিটি, ভ্যালনারেবিলিটি টেস্টিং, অ্যাকাউন্ট রিকভারি, এবং অনলাইন প্রতারণা প্রতিরোধে। তার এজেন্সি CyberCrack24 ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। সাইবার সচেতনতা বাড়াতে সেমিনার–ওয়ার্কশপ আয়োজন অব্দুল্লাহ আল নোমান শুধু নিজের কাজেই সীমাবদ্ধ নন। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় তিনি নিয়মিত সাইবার সচেতনতা সেমিনার, ট্রেনিং সেশন ও ওয়ার্কশপ আয়োজন করে তরুণদের সাইবার জগতে নিরাপদ থাকার পথ দেখাচ্ছেন। সেমিনারগুলোর মূল লক্ষ্যঃ
🔹 শিশু-কিশোরদের অনলাইন সেফটি শেখানো
🔹 নারীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করা
🔹 শিক্ষার্থীদের সাইবার ক্যারিয়ার গঠনে উৎসাহ দেওয়া
🔹 সাধারণ মানুষকে ফিশিং, হ্যাকিং, প্রতারণা থেকে বাঁচার কৌশল শেখানো
🔹 সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেটা নিরাপত্তা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া
তার বক্তব্য সবসময়ই বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে সাজানো, যা মানুষকে সরাসরি অনুপ্রাণিত করে।
সেমিনারে তিনি বারবার মনে করিয়ে দেন “ডিজিটাল দুনিয়ায় আপনার অজ্ঞানতাই সবচেয়ে বড় দুর্বলতা—আর সচেতনতাই সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা। আরও বলেন, “সাইবার অপরাধ থামানো একা কারও পক্ষে সম্ভব নয়; প্রতিটি ব্যবহারকারীর সচেতনতা মিলেই তৈরি করবে নিরাপদ ইন্টারনেট।
তার কিছু অনুপ্রেরণাদায়ী উক্তি-
⭐ “পাসওয়ার্ড নয়, আপনার সচেতনতাই আপনার প্রথম নিরাপত্তা।”
⭐ “ইন্টারনেটে যা দেখছেন, সব সত্য নয়—কিন্তু প্রতিটি ক্লিক হতে পারে আপনার ঝুঁকি।”
⭐ “প্রতারণা তখনই সফল হয়, যখন আপনি জানেন না কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন।”
⭐ “সাইবার সিকিউরিটি শুধু টেকনিক্যাল স্কিল নয়—এটা প্রতিদিনের অভ্যাস।”
তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, অব্দুল্লাহ আল নোমান চান—
💠 দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাইবার সেফটি ক্লাস বাধ্যতামূলক হোক
💠 যুব সমাজ সাইবার ক্যারিয়ার গড়ে সামনে এগিয়ে যাক
💠 বাংলাদেশকে একটি আন্তর্জাতিক মানের সাইবার সুরক্ষিত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
নিজের নিষ্ঠা, জ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি ভালোবাসা দিয়ে তিনি প্রমাণ করছেন—“ইচ্ছাই বড় শক্তি; আর সেই ইচ্ছা যখন সাইবার নিরাপত্তার জন্য হয়, তখন তা মানুষের জীবনও বদলে দিতে পারে।
মন্তব্য করুন