
সারা দেশের ন্যায় জামালপুরের মাদারগঞ্জে ৩ দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে দিনব্যাপী এ কর্মবিরতি পালন করেছে মাদারগঞ্জ উপজেলার স্ব স্ব স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা।
গত ১০ নভেম্বর/২০২৫ তারিখে সরকার ঘোষিত ১১ তম গ্রেড প্রতিশ্রুতি’র প্রজ্ঞাপন জারি, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডে শতভাগ পদোন্নতি, সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি এই ৩ দফা দাবী বাস্তবায়নে কর্মবিরতি পালন করছে সহকারী শিক্ষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে জোনাইল চাইলেনী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিজুড়ী রওশন আরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপজেলা মির্জা কাশেম মর্ডাণ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেঘরিয়া পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর চরবওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফাজিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝাড়কাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সহ
চরপাকেরদহ মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন আমাদের শিক্ষকদের যে দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলমান আছে এবং দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলমান থাকবে।
উত্তর চরবওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওয়ালিদ বলেন ৩ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের কর্মবিরতি চলমান আছে। ১১ তম গ্রেড এর প্রজ্ঞাপন সহ দাবি গুলো বাস্তবায়ন না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচী হাতে নেবো। সামনে যে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরিক্ষা আছে সেটা বর্জনে আমরা পিছু পা হবো না। দাবী গুলো বাস্তবায়ন হলে আমরা ছুটির দিনগুলোতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলমান রেখে ঘাটতি পুরন করবো।
উপজেলা মির্জা কাশেম মর্ডাণ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছামিউল হক বলেন আমাদের শিক্ষকদের যে ৩ দফা দাবীতে আন্দোলন চলতেছে, প্রশাসন ১১ তম গ্রেড ঘোষণা দেওয়ার পর ও গেজেট না হওয়ার কারণে নায্য দাবী আদায়ে আমাদের শিক্ষক সমাজ হতাশার মধ্যে আছে। গেজেট না হওয়ায় আমাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। দাবী পুরন হলে আমরা বন্ধের দিনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের যে ক্ষতি সেটা পুষিয়ে নেবো।
ফুলজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আন্দোলনে আহত রিয়াদুল ইসলাম বলেন সারাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে আমরা মাদারগঞ্জে ২০১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি। আমি গত ৮ তারিখে পুলিশের বর্বর হামলায় মারাত্নক আহত হয়েছি। আমার উরুতে সাউন্ড গ্রেনেডের দুইটা স্প্রিন্টার প্রবেশ করেছিল।
আমার ডান কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে গিয়েছে সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে।আমরা জীবন দিয়েছি, রক্ত দিয়েছি।সফল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি মাদারগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হক বলেন সারা দেশের ন্যায় মাদারগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে আমাদের কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। আমাদের দাবি গুলো সরকার বাহাদুর মেনে না নিলে আগামী ২ তারিখে পরীক্ষা বর্জন করতে দ্বিধা করবো না।
মন্তব্য করুন