স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর ধরে মোজাফফর হোসেন বিদ্যালয়ে নামমাত্র উপস্থিত থেকে তবে গভীর রাতে স্কুল থেকে হাজিরা খাতা বাড়িতে নিয়ে স্বাক্ষর করে বেতন তোলেন। তাছাড়া নিজে স্কুলে না এসে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন সভাপতির যোগসাজসে তার স্ত্রী স্কুলে এসে নিতেন ক্লাস, দিতেন স্বামীর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর। সারকথা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই অফিস সহায়ক পদে যোগদান করে দায়িত্বে গাফিলতি করছেন মোজাফফর হোসেন।
১১নং শ্যামপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সহ-সভাপতি হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও তিনি প্রধান শিক্ষককে চাপের মুখে রেখে বিল উত্তোলন করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, সরকারের পরিবর্তন হলেও তার আগের প্রভাব-প্রতিপত্তি এখনও বহাল রয়েছে।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা চাই সন্তানরা ভালো শিক্ষা পাক। কিন্তু যারা স্কুলে থাকেন না, তারাও সরকারি টাকা নেন—শিক্ষকের এমন ভূতুড়ে কান্ড মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিবাদ করলেই ভয়ভীতি দেখান তিনি।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন নির্দ্বিধায়। ক্ষমতার দাপট আর পেশী শক্তির কাছে অসহায় তিনি।
স্কুলে না এসে হাজিরা খাতায় এক মাসের স্বাক্ষর একবারে দিয়ে বেতন তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান ভুইঁয়া বলেন, “অভিযোগের বিষয়ে অবগত হলাম। তদন্ত করে প্রমাণ মিললে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে অভিযুক্ত মোজাফফর হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা আশা করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফেরাতে অনুপস্থিত থেকে সরকারি অর্থ ভোগকারী এই ভূত অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।