বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০২ পূর্বাহ্ন
Title :
বাগমারায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালন মহালছড়িতে বয়স্ক ব্যক্তির রহস্যজনক নিখোঁজ, পানিতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা মাদারগঞ্জে স্কুলের ছাদ ধসে আহত ২ শিক্ষার্থী, পরদিন ক্লাসরুম ফাঁকা সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের মানববন্ধন গাজীপুরে তুহিন হত্যা – মেলান্দহে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা পোরশায় উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা বিএনপির বিজয় মিছিল কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি-মহালছড়ির সমতল এলাকা প্লাবিত, দুর্ভোগে জনজীবন কুড়িগ্রামে বিএনপির বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত লালমোহনে গণহত্যাকারী স্বৈরাচার খুনি হাসিনা সরকারের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি আলোচনা সভা জামালপুরে সাংবাদিক মিঠু আহমেদকে সংবর্ধনা

কেঁচো সার তৈরী করে সফল পোরশার চাঁনবতি

সুকুমার ঋষি, পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫
  • ১১৪ Time View
পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে কেঁচো সার তৈরীতে ব্যস্ত  চাঁনবতি।ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ

নাম চাঁনবতী। বয়স আনুমানিক ৩৮বছর। ক্ষুদ্র ন-ৃগোষ্ঠী পরিবারে তার জন্ম। পরিবার অসচ্ছলতার কারনে পড়ালেখা করা হয়নি। অবশেষে বিয়ের বয়স হয়েই বাবা-মার পছন্দে নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউপির কামারধা গ্রামের সমা তিগ্যার সাথে বিয়ে হয় তার।

তবে ছোটবেলা থেকেই চাঁনবতীর স্বপ্নছিল উদ্যোক্তা হওয়ার। নিজে কিছু একটা করে সবাইকে চমক লাগিয়ে দেবেন। কিন্তু বাবার অভাবী সংসারে ভেবে পাচ্ছিলেন না কি করবেন। এরই মধ্যে বাবা বিয়ে ঠিক করেছেন জেনে আরো চিন্তিত হয়ে যান তিনি। বাবার ইচ্ছায় বিয়ে করে স্বামীর বাড়িতে আসেন চাঁনবতী। এসে দেখেন স্বামী কখনো ভ্যান চালায় আবার কখনো অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। এভাবে অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে সংসার চলে তার। এরই মধ্যে তাদের সংসারে ১ছেলে ও ১ মেয়ের জন্ম হয়।

পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে সংসারে অভাব-অনটন প্রকট হয়ে দেখা দেয়। এসময় চাঁনবতী সেই আগের উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। সে স্বপ্নকে মাথায় রেখে শুরু করেন কেঁচো সার তৈরী এবং বিক্রির ছোট একটি উদ্যেগ। চাঁনবতী জানান, নিজ বাড়ির উঠানের একপাশে প্রথমে ২টি রিং পার্টে কেঁচো সার তৈরী শুরু করেন। এতে তিনি সফল হয়ে ৮টি রিং পার্টে কেঁচো সার তৈরী করছেন। কেঁচো বা ভার্মি কম্পোস্ট সার নামে এই সার স্থানীয় কৃষকরা নিয়মিত ক্রয় করে জমিতে ব্যবহার করছেন। স্থানীয় কৃষকরা তার নিকট থেকে প্রতি কেজি কেঁচো সার ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যান। এতে প্রতিমাসে তিনি ৪ হাজার টাকার বেশী আয় করছেন।

এই সার দিয়ে তিনি নিজে পিয়াজ, রসুন, সিম ও বিভিন্ন শাক-সবজী চাষাবাদ করেন এবং নিজে খেয়ে অতিরীক্ত সাক-সবজী বিক্রি করেন। এতে তার সংসার এখন ভাল চলছে বলে তিনি বলেন। আগামীতে তিনি আরো বেশী কেঁচো সার তৈরী বাড়াবেন বলে জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনূর রশিদ বলেন, বাজারের রাসায়নিক সারের চেয়ে কেঁচো সারের দাম তুলানামূলক অনেক কম। এই সার প্রয়োগে ফসলের রোগবালাই অনেক কম হয়। তিনি সকল কৃষকদের তাদের ফসলে কেঁচো সার প্রয়োগ করার জন্য বলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Channel 11
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102