সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে হটাৎ বাউসী চন্দনপুর খুরশেদ মিয়ার ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। কয়েক মিনিটেই পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পর্যাক্রমে আরো ৩টি ঘরে আগুন লেগে খুরশেদ মিয়ার বসতঘর সহ মফিজ উদ্দিন, আব্দুল হাকিম এবং সুরুজ মিয়া এই চারজনের বসতঘর আগুনে পুড়ে যায়।
আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই হলেও বিস্ময়করভাবে এক জায়গায় অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে পবিত্র কোরআন শরিফ। এই অলৌকিক ঘটনাটি এলাকাজুড়ে সৃষ্টি করেছে আবেগ ও বিস্ময়ের। পরে সংবাদ পেয়ে সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসটিম ও স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
আগুনে বসতঘরের সকল জিনিসপত্র টিভি, ফ্রিজ, সোনারগয়না, চিকিৎসার জন্য রাখা নগদ টাকা ও ২৫০ মণ-ধান চাল পুড়ে যায়। তবে স্থানীয়রা ধারণা করেন বৈদ্যুতিক লাইন থেকেই আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে। তবে কোন আহতের ঘটনা ঘটেনি।
বসতঘর পুড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়া ভুক্তভোগী মফিজ উদ্দিন, নাছিমা বেগম, হাকিম ও সুরুজ মিয়া জানান, আমরা যে যার মত করে কাজ করতেছিলাম। হটাৎ দেখি খুরশেদের ঘরে থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কয়েক মিনিটেই পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের আরো চারটি ঘরে লাগলে সবকিছু পুড়ে যায়। আমাদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাঁই হয়েছে। আমরা এভাবেই নিঃস্ব হয়ে গেলাম!
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পৌঁছে আমাদের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে।