রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় শিয়াল মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবদুল মমিন (৩৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার মোহনপুর গ্রামের একটি পোলট্রি খামার থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো একসময়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আবদুল মমিন একই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। মমিনের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, মমিন মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। বিয়ে করেননি। নিজের মতো চলাফেরা করতেন। প্রায়ই রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আবার ফিরে আসতেন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গতকাল রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে মমিন আর ফেরেননি। আজ সকালে একই গ্রামের ইউসুফ আলীর পোলট্রি খামারের পাশে তারের সঙ্গে জড়িয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সকাল ১০টার দিকে সেখানে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
অরক্ষিত বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা ঠিক হয়নি জানিয়ে খামারটির মালিক ইউসুফ আলী বলেন, ঈদের আগে এলাকায় শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে যায়। প্রতি রাতেই খামারে হামলা দিয়ে মুরগি খায় প্রাণীগুলো। এক দিনে ৫০টি মুরগিও খেয়েছে শিয়াল। এ জন্য খামারের পাশে খোলা তার দিয়ে রাত ১২টার পর থেকে শিয়াল মারার ফাঁদ পেতে রাখতেন।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।