ভোলার লালমোহন উপজেলার চরউমেদ ইউনিয়ন(গজারিয়া) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাদবরকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে দেখতে চান নেতা-কর্মীরা।
চরউমেদ(গজারিয়া) ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত ও জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাষী মোস্তফা মাদবর তাঁর জীবন-যৌবনের পুরো সময়টাই বিএনপির ছায়াতলে থেকে একজন তৃণমূল কর্মী হয়ে কাজ করেছেন৷
১৯৮৬ সালে মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম লালমোহন-তজুমুদ্দিনের রাজনীতিতে পদার্পন করলে তিনি তার প্রতিটি নির্বাচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। মোস্তফা মাদবর তাঁর ব্যক্তিগত সততা, পরিশ্রমপ্রিয়তা, কর্তব্যনিষ্ঠা, নেতৃত্বের দৃঢ়তা, নির্লোভ, নির্মোহ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিবিড় ভালোবাসা দিয়ে চরউমেদ ইউনিয়নে বিএনপিতে নতুন জাগরণ সৃষ্টি করেন। রাজনীতির শুরুতে জিয়া পরিষদের সেক্রেটারি, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি পরবর্তীতে ২০১১সালে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হয়ে অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের সুখে-দুখে পাশে থেকে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে তাঁর বিরামহীন ছুটে চলায় চরউমেদ ইউনিয়নে বিএনপির শক্তিশালী ভিত্তি রচনা করেন। শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যেমন মানুষের আশা আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক,তেমনই তিনিও হৃদয়ের অন্তরালে বহমান মানুষের প্রতি তাঁর আস্থা ও ভালোবাসা দিয়ে আগামি দিনের ইউনিয়নবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
২০১১ সালে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের শাসনামলে তাঁর জমি ও দোকান দখল, জেল-জুলুম, হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে যারা রাজপথে ছিলেন মোস্তফা মাদবর তাদের মধ্য অন্যতম। ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী হিসেবে দীর্ঘ ১৪ বছর তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। দলের আন্দোলন সংগ্রামে থেকে কখনো পিছপা হননি এই নেতা। তাঁরই প্রতিদান হিসেবে মোস্তফা মাদবরকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে দেখতে চায় নেতাকর্মী-সমর্থকরা। ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান মোস্তফা মাদবরের জনপ্রিয়তায় ভীতু হয়ে সম্প্রতি চরউমেদ ইউনিয়নে সম্মেলনের নামে চক্রান্ত করে তাকে বাদ দিয়ে একটি প্রস্তাবিত কমিটি উত্থাপন করা হয়। এতে করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দুর্দিনে দলের জন্য কাজ করেছেন এমন ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে স্বজনপ্রীতি করে অদক্ষ,অসাংগঠনিক ব্যক্তিদের ইউনিয়নের শীর্ষ নেতৃত্বে আনার পায়তারা করা হয়। যারা আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলেন না, মামলা-হামলা কিংবা নির্যাতনের মুখেও ছিলেন না, ঘরছাড়াও হতে হয়নি। বিগত দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন, তাল মিলিয়ে চলেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে, তাদের দিয়ে কমিটি দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা মেনে নিবেন না।
নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা দক্ষ, জনপ্রিয়, যোগ্য, পরিশ্রমী, নিবেদিত, সাংগঠনিক সক্ষমতা সম্পন্ন বিগত দিনে দলে ত্যাগ,শ্রম বিবেচনায় প্রবীণ-নবীন নেতাদের সমন্বয়ে একটি সময়োপযোগী নতুন কমিটি গঠিত হলে চরউমেদ ইউনিয়নে নতুন প্রাণ ফিরে আসবে এবং সংগঠন তৃণমূল পর্যায়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় নেতাদেরকে নেতৃত্বে আনলে দলের ঐক্য এবং শক্তি বজায় থাকবে। বিতর্কিত এবং স্বার্থপর নেতাদের নেতৃত্বে আনা হলে দলের অভ্যন্তরীণ বিভক্তি এবং হতাশা আরো বৃদ্ধি পাবে।
এ প্রসঙ্গে মোস্তফা মাদবর বলেন,আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই আমি শহীদ জিয়ার অনুরক্ত, বিএনপি'র একজন একনিষ্ঠ সমর্থক ও মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ হচ্ছে দেশের জন্য ত্যাগ ও নিজেকে উৎসর্গ করা। সেই আদর্শকে ধারন করেই বিএনপির রাজনীতি করছি। আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক, আমি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমের নির্দেশনা মোতাবেক আমি বিগত দিনে সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বহু হয়রানি নিপীড়নের শিকার হয়েছি। তিনি আরও বলেন, নেতা- কর্মীদের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে রয়েছি। সবসময়ই সততার সঙ্গে কাজ করেছি। আগামীতেও আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা শতভাগ নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করব।